আসসালামু আলাইকুম।শিক্ষাই
জাতির মেরুদন্ড। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। এই শিক্ষার গুরুত্ব
অনুধাবন করে অত্র এলাকার কৃতি সন্তান ও সাবেক যুব ও ক্রীড়াপ্রতিমন্ত্রী
জনাব মোঃ আহাদ আলী সরকারের নেতৃত্বে বিভিন্ন পেশাজীবি বুদ্ধিজীবিসহ দল-মত,
জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনগণেরঐকান্তিক প্রচেষ্টায়
এবং জাতির জনকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় অনুপ্রাণিত হয়ে “বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব কলেজ”, নাটোর সদর উপজেলার ২নং (সাবেক ৭নং)তেবাড়িয়া ইউনিয়নের
চন্দ্রকলা নামক স্থানে ২০০০ খ্রীঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়।যা দক্ষ পরিচালনা পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। রাজনীতি, সন্ত্রাস ও
ধুমপানমুক্ত এপ্রতিষ্ঠানটিকে একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠে পরিণত করার জন্য একঝাক
অভিজ্ঞ, তরুণ ও বুদ্ধিদীপ্ত শিক্ষক নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভালো
ফলাফলের জন্য সার্বক্ষনিক ক্লাস মনিটরিং,পাঠ পরিকল্পণা, অতিরিক্ত ক্লাস ও
পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। অভিভাবকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ সহ অভিভাবক
সমাবেশ করা হয়। ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য কলেজের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম ওআইডি
কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কলেজটিতে ১টি একাডেমিক ভবন, ১টি চারতলা
ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ভবন এবং নয় কক্ষ বিশিষ্ট ১টি সুবিশাল টিনশেড ভবন
রয়েছে।এছাড়াও এখানে একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, একটি
সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, ১টি প্রশস্ত খেলার মাঠসহ কলেজে নিরিবিলি কোলাহল মুক্ত
মনোরম পরিবেশে পাঠদান করা হয়। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং জাতীয় দিবস উৎযাপন ইত্যাদি অনুষ্ঠানের
ব্যবস্থা থাকায় সহজেই এই এলাকার দরিদ্র অবহেলিত ও বঞ্চিত পরিবারের
ছেলে/মেয়েরা স্বল্প খরচে ও বিনা বেতনে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে। জাতির
জনকের কন্যা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে কলেজটি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখছে।প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে ডিগ্রীতে উন্নীত হয়েছে। আগামীতে
অনার্স-মাস্টার্স সহ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার প্রত্যাশা রাখছি।
কলেজ প্রতিষ্ঠায় যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুশৃংখল ও আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার
লক্ষে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা আশা করছি। প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর উন্নতি ও
সমৃদ্ধি কামনায়-